Thursday, November 26, 2015

নাটোর জেলার পরিচিতি

নাটোর জেলা বাংলাদেশের
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী
বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
ভৌগোলিক সীমানা
মানচিত্রে নাটোর জেলা
এই জেলার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো
হলো: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া এবং
সিরাজগঞ্জ। এই জেলার উত্তরে
নঁওগা ও বগুড়া, দক্ষিণে পাবনা ও
কুষ্টিয়া, পূর্বে পাবনা ও সিরাজগন্জ
এবং পশ্চিমে রাজশাহী জেলা
অবস্থিত।
নাটোরসহ এর পার্শ্ববর্তী বগুড়া ও
সিরাজগঞ্জে অবস্থিত চলন বিল
হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়
বিল। সড়ক পথে ঢাকা থেকে এর দুরত্ব
২২০ কিমি।
প্রধান নদী
উল্লেখযোগ্য নদীগুলোর মধ্যে
রয়েছে পদ্মা নদী, আত্রাই , বড়াল,
নারদ নদ , তুলসী, নাগর, নন্দকুজা,
খলসাডাংগা, বারনই, গোধাই, গুনাই
উল্লেখষোগ্য।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
নাটোর জেলার উপজেলাগুলো হলঃ
নাটোর সদর উপজেলা
বাগাতিপাড়া উপজেলা
বড়াইগ্রাম উপজেলা
গুরুদাসপুর উপজেলা
লালপুর উপজেলা
সিংড়া উপজেলা
নলডাঙ্গা উপজেলা
ইতিহাস
অষ্টাদশ শতকের শুরুতে নাটোর
রাজবংশের উৎপত্তি হয়। ১৭০৬ সালে
পরগণা বানগাছির জমিদার গণেশ
রায় ও ভবানী চরণ চৌধুরী রাজস্ব
প্রদানে ব্যর্থ হয়ে চাকরীচ্যুত হন।
দেওয়ান রঘুনন্দন জমিদারিটি তার
ভাই রামজীবনের নামে বন্দোবস্ত
নেন । এভাবে নাটোর রাজবংশের
পত্তন হয়। রাজা রামজীবন নাটোর
রাজবংশের প্রথম রাজা হিসেবে
প্রতিষ্ঠা লাভ করেন ১৭০৬ সালে
মতান্তরে ১৭১০ সালে । ১৭৩৪ সালে
তিনি মারা যান । ১৭৩০ সালে
রাণী ভবানীর সাথে রাজা রাম
জীবনের দত্তক পুত্র রামকান্তের
বিয়ে হয় । রাজা রাম জীবনের মৃত্যুর
পরে রামকান্ত নাটোরের রাজা হন।
১৭৪৮ সালে রাজা রামকান্তের
মৃত্যুর পরে নবাব আলীবর্দী খাঁ রাণী
ভবানীর ওপর জমিদারি পরিচালনার
দায়িত্ব অর্পণ করেন । রাণী ভবানীর
রাজত্বকালে তার জমিদারি
বর্তমান রাজশাহী , পাবনা , বগুড়া ,
কুষ্টিয়া , যশোর , রংপুর , পশ্চিমবঙ্গের
মুর্শিদাবাদ , বীরভূম, মালদহ জেলা
পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। নাটোরে নীল
বিদ্রোহ ১৮৫৯-১৮৬০ তে সংঘটিত হয়।
[২] ১৮৯৭ সালের জুনে নাটোরে
বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের
অধিবেশন হয় । সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর
সভাপতি, মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ
অভ্যর্থনা নমিতির সভাপতি ও প্রধান
উদ্যোক্তা ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ও মহারাজা জগদিন্দ্রনাথের
চেষ্টায় সেবারই প্রথম রাজনৈতিক
সভায় বাংলা ভাষার প্রচলন করা হয়।
১৯০১ সালে মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ
কলকাতা কংগ্রেসের অভ্যর্থনা
সমিতির সভাপতি হন।
[ তথ্যসূত্র প্রয়োজন ]
১৮৪৫ সালে রাজশাহী জেলার
অধীনে নাটোর মহকুমার সৃষ্টি। আর
অন্যান্য মহকুমার মতো জেলায় উন্নীত
হয় ১৯৮৪ সালে।
১৯৭১ সালের ৫ মে গোপালপুরের
চিনিকলের এম.ডি. মো. আজিম সহ
প্রায় ২০০ মানুষকে নৃশংসভাবে
পাকবাহিনী হত্যা করে। এই
বধ্যভূমিতে নির্মাণ করা হয়েছে
শহীদ মিনার এবং রেলস্টেশনের
নামকরণ হয়েছে আজিমনগর। [৩]
অর্থনীতি
জেলার প্রধান উৎপাদিত ফসল হলো
ধান । এছাড়াও এখানে গম , ভূট্টা ,
আখ , পান ইত্যাদি উৎপাদিত হয়।
বিলুপ্তপ্রায় ফসল নীল, বোনা আমন ও
আউশ ধান ।
এখানে বেশ কয়েকটি ভারি শিল্প
রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দুইটি
চিনিকল, একটি ডিস্টিলারি, একটি
ফলের রস এর কারখানা। দেশের
১৬টি চিনিকলের মধ্যে ২টি এই
জেলায় অবস্থিত। এছাড়াও মূলতঃ এই
জেলায় উৎপাদিত আখের উপর নির্ভর
করে পার্শ্ববর্তী রাজশাহী ও
পাবনা জেলায় গড়ে উঠেছে আরও
দুইটি চিনিকল। এছাড়া
বাংলাদেশের বৃহত্তম প্রাণ
কোম্পানীর বেশীরভাগ কাঁচামাল (
আম , লিচু , বাদাম , মুগ ডাল,পোলার
চাউল ইত্যাদি) নাটোর জেলার
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে।
সম্প্রতি এখানে আপেল কুল, বাউ
কুল,থাই কুলের ব্যাপক চাষ হচ্ছে ।
চিত্তাকর্ষক স্থান
উত্তরা গণভবন (দিঘাপতিয়ার
রাজবাড়ি) ,
নাটোর রাজবাড়ী ,
যুব পার্ক ,
চলন বিল ,
বাগাতিপাড়ার দয়ারামপুর
জমিদার বাড়ি ,
চলনবিল জাদুঘর ,
লালপুরের পদ্মার চর,
শহীদ সাগর (গোপালপুর) ,
বুধপাড়া কালীমন্দির,
ধরাইল জমিদার বাড়ি, * লুর্দের
রানী মা মারিয়ার ধর্মপল্লী,
নাটোর ।
পত্র পত্রিকা
সাপ্তাহিক নাটোর বার্তা
দৈনিক প্রান্তজন
গ্যালারি
উত্তরা গণভবনের প্রবেশপথ
উত্তরা গণভবন
Uttara ganabhaban.jpg
উত্তরা গণভবনের সামনের অংশ
নাটোর রাজবাড়ী
চলনবিল
Kachagolla full.png
প্লেট ভর্তি নাটোরের
কাঁচাগোল্লা
নাটোরের কাঁচাগোল্লা
নাটোরের কাঁচাগোল্লা

0 comments:

Post a Comment