Thursday, December 3, 2015

নোংরা পরি



তেলেগু অক্ষরে লেখা বাংলা ন্যারেটিভ পড়া বজায় রাখল ইন্সপেক্টার রিমা খান ।  তেলেগু অক্ষরকে বাংলা করিয়ে প্রিন্টআউট নিয়েছে ।
সময়টা সেনসেক্স অমুক থেকে তমুক হাজারে যাবার মাঝামাঝি বেশ পেছলা এরকম কাদায় কিউতে দাঁড়িয়ে টাইমপাস করতে চোখ ব্যবহার করে, চারিপাশে তাকিয়ে তার সঙ্গে কাণ উৎকর্ণ রেখে ফালতু গল্পে নিজেকে সেসব টানাপোড়েনে জড়িয়ে রেখেছিলুম । ক্লান্তির আবছায়ায় মনে হচ্ছিল, অতীতে, ধূসর নয়, রঙ গন্ধ ছোঁয়ার স্মৃতিতে ভাসছিল ও, নিরঞ্জন, বয়স হওয়া সত্ত্বেও । ডাকতার ওকে বলেছে ভাবতে-ভাবতে অতীতের স্মৃতিকে খুঁচিয়ে তুলতে , যতটা স্পষ্টতা ওসকানো সম্ভব, পেছনে চলে যেতে, পেছনে পেছনে পেছনে পেছনে গিয়ে আবার এগিয়ে আসতে , এগিয়ে এগিয়ে এগিয়ে এগিয়ে, বিশেষ করে প্রতিযোগীতায় হেরে যাবার, মা-বাবার কাছে মার খাবার, চোট-জখমের, অপমানিত হবার, শয্যাশায়ী থাকার, অসুখের, প্রতারিত হবার, প্রতারণা করার, প্রেমে বিশ্বাসঘাতকতার, যৌনতার, যৌন হুল্লোড়ের, যে-স্মৃতিগুলো ঘাঁটলে মগজ টাটকা থাকবে, বুড়িয়ে যাবার অবধারিত ভুলোপনাকে আটকে রাখবে, অ্যালঝিমারের ভয় থাকবে না । ডাকতার শেষনি ম্যাডাম বলেছেন যে গোপন স্বীকৃতি কমপিউটারে লুকিয়ে রাখুন , মাঝে-মাঝে পড়ুন, মেমারি এনজয় করুন , ফ্রেশ ফিল করবেন ।
মেয়েমানুষ, নারী, স্ত্রীলোক ছাড়া কোনও একরোখা উদ্দেশ্য ছিল না । হ্যাঁ, খাওয়া আর টাকা থাকাটাও জরুরি মনে হয়েছে । কত রকমের খাবার যে আছে জগতে ।  মানুষে-মানুষে প্রভেদ যে কত প্রয়োজন তা রকমারি খাবার দেখে, খেয়ে বুঝতে পেরেছি । মেয়েমানুষ, টাকা আর খাওয়া । কিন্তু একদিন একজন হঠাৎ বলে উঠল, ‘চলুন পালাই’ , আর ব্যাস, সব কিছু ওলোট-পালোট হয়ে গিয়েছিল ।
সেনসেক্সের অমুক হাজার থেকে স্মৃতিকে আঙুল করছে নিরঞ্জন, নিরু, মায়ালিঙ্গা, মায়াগারু, নিরঞ্জন পাল, নিরঞ্জন বণিক, নিরঞ্জন ব্যানার্জি, নির্জনাইয়া । এসব ওরফে আমার নিজের নেয়া নয় ; আমার ওপর চাপানো ।  আমার কিন্তু তা ভালো লেগেছে । ওরফেগুলোর জন্যে নিজেকে আবিষ্কার করতে পারলুম । নয়তো কি-ই বা ছিলুম । কখনও ষাঁড়ের মতন দৌড়োতুম, কখনও ভাল্লুকের মতন গোটাতুম নিরঞ্জনকে । বাবার দেয়া নাম । বাবা । যিনি কথায়-কথায় চড় মারতেন । আমার কানে প্রতিটি চড়ের আওয়াজ দর্জ করা আছে । সব চড়ের ধ্বনি একই রকম নয় । চড়ের কারণ অনুযায়ী বাবা চড়কে শব্দদান করতেন । এবং অর্থ ।
অনেকে বলে ঠাস করে চড় । তারা জানেইনা চড় কাকে বলে । চড়ের আওয়াজ ঠাস হতে পারে না । পপটিটি চড়ের পৃথক অর্থ হয় । এখন চড়ের আশঙ্কা নেই । ভয় সুধু ভাইরাসের । হার্ড ডিস্কের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর না করার কারণ এই ভাইরাসই । কোথা থেকে কোন ভাইরাস চলে আসবে তার ঠিক নেই । সিডি থেকেই চলে আসবে হয়তো   বা গান বা বাজনা থেকে । বাবার চড়ের চেয়েও অপ্রত্যাশিত ।
পড়তে শুরু করে পুলিসের ইনভেসটিগেটিং অফিসার ইন্সপেক্টার রিমা খানকে এই চিন্তাটা উত্তেজিত করেছে যে কেন কংকালটা লিখেছে বাংলা কিন্তু ব্যবহার করেছে তেলেগু অক্ষর । এটুকু পড়ে নোট নিল যে শেষনি ছদ্মনামের একজন ডাকতারের নির্দেশে, কংকালটা নিজের বার্ধক্যের নিরাময়ের উপায় হিসাবে এই প্রক্রিয়া প্রয়োগ করেছে । শেষনি সত্যিই ডাকতার না নার্স না সেবিকা না সহায়িকা না প্রেমিকা তা কংকালের হেঁয়ালির কারণে বেশ কনফিউজিং । সতর্কভাবে কনফিউজ করার ব্যবস্হা করে রেখেছে কংকাল লোকটা । যাতে কেউ না সহজে পড়ে ফ্যালে, সেদিকেও কংকালটা খেয়াল রেখেছিল ।
কংকালটার বাপ ওকে ঠেঙিয়ে-ঠেঙিয়ে মেনটাল কেস করে দিয়েছিল কিনা তাও জানা দরকার । তার মানে কংকালটার যোগাযোগ ছিল  কিছু লোকের সঙ্গে যাদের সবাইকে ও নিজের সম্পর্কে গোপন তথ্য জানতে দিতে চায়নি । কী সেই গোপনীয়তা ? শেষনি ছদ্মনামের কোনো ডাকতার খুঁজে পাওয়া যাবে না রেজিস্টার্ড ডাকতারদের তালিকা থেকে । কংকালটার বাড়িতে মেডিকাল ফাইল পাওয়া যায়নি । প্রেসক্রিপশান বা প্যাথলজিকাল রিপোর্ট থাকলেও ক্লু পাওয়া যেত । শেষনি হয়তো ডাকতার নয় ; কংকালের বুড়ো বয়সের প্রেমিকা হতে পারে । অনেক পুরুষ আছে যারা প্রেমিকা ছাড়া বাঁচতে পারে না । কংকালটাও বোধহয় সেই টাইপের লোক  ছিল । শেষনি বলে জুটিয়েছিল কাউকে ।
ওই মহিলা, যার কয়েকগাছা চুল পাওয়া গেছে, তার হদিস এই সিডিগুলোর মথ্যে  নিশ্চয় কোনোটায় থাকবে । বাথরুমের চটিটা এত বড় মাপের যে মনে হয় তা কোনো পুরুষের । কংকালের নিজেরও হতে পারে । কিন্তু কংকাল কি অমন রঙচঙে মেয়েলি চটি পরত ? কংকালটা গে নয় তো ? হয়তো কোনো গে পুরুষ ভুলে ফেলে গেছে !  সেই কি খুনি ? গে পুরুষদের প্রেমিক নিয়ে টানাটানি হয় বটে, তা থেকে খুনোখুনির সূত্রপাতও ঘটে ; বিদেশে তো অমন গে সংক্রান্ত খুনোখুনি প্রায়ই ঘটতে দেখা যায় । সুমন মিশ্র আর রমেন বসু চটিটার কেমিকাল অ্যানালিসিস করিয়ে নিতে পারেননি, তখন ফরেনসিক দপতরের সুযোগ-সুবিধা ছিল না তেমন । চুলের যে গোছা পাওয়া গেছে তার ডিএনএ টেস্ট করিয়ে নেয়া যেতে পারে , যদি আরও কোনো জিনিসের ডিএনএর সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হয় ভবিষ্যতে ।
প্রথম যিনি এই কেসটা নিয়েছিলেন সেই তদন্তকারী অফিসার সুমন মিশ্র নির্ণয় নিতে পারেননি যে এটা আত্মহত্যা না খুন না স্বাভাবিক মৃত্যু । উনি বিরক্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত ফাইলটা ক্লোজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ; সে প্রায় দশ বছর আগের কথা । ফাইলটা তখন ক্লোজ করতে চাননি তখনকার ডাইরেক্টার জেনারাল হরিশঙ্কর মুখার্জি ।  ওনার গভীর অভিজ্ঞতা  ওনাকে সন্দেহ করতে বাধ্য করেছিল যে এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয় ।
দ্বিতীয় তদন্তকারী অফিসার রমেনবাবু বছর দুয়েক পরে কেসটা নিয়ে বহু তথ্য একত্রিত করেছিলেন, উনিও পথ গুলিয়ে হাল ছেড়ে দেন । সেই থেকে ফাইলটা বলা যায় হাফ-খোলা-হাফ-বন্ধ হয়ে পড়ে আছে । বর্তমান ডায়রেক্টার জেনারাল পবিত্র মুখোপাধ্যায় বলেছেন যে চাকরি থেকে সাসপেন্ডেড  রিমার চাকরিতে বহাল হওয়া , আটকে থাকা পোস্টিং  আর প্রোমোশান এই কেসটা সুরাহা করার পরই হবে ।  দ্বিতীয় তদন্তকারী ওসির সময়ে ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটারিতে ডিএনএ স্যামপেল টেস্ট করার কেমিকাল নাকি ফুরিয়ে গিয়েছিল ; দুটো জেনেটিক অ্যানালাইজারের মধ্যে একটা খারাপ হয়ে পড়েছিল ; অ্যানালিস্টদের পদগুলোতে পোস্টিং হয়নি কারোর ।
ট্র্যান্সক্রিপ্ট-অনুবাদের গোছা পড়া বজায় রাখল রিমা । পুলিস কমপিউটার সেন্টারের সহায়তায় সবকটা সিডি ও তেলেগু থেকে বাংলা করেছে । কংকালের সংগ্রহের প্রতিটি সিডিই তার আত্মক্ষতর খতিয়ান নয় । প্রায় হাজার খানেক সিডির মাত্র কয়েকটায় আত্মক্ষত আছে । বাদবাকি সবকটাই পাশ্চাত্য গান, বাংলা গান, বলিউডি গান, হলিউডের ফিল্ম, নাচের ডিভিডি, আর কোনো কিছু রেকর্ড না-করা সিডি । প্রতিটি দেখে দেখে তেলেগু লেখা সিডিগুলো পৃথক করেছে রিমা । ২০০টা সিডি দেখার পর রিমার মনে হয়েছিল প্রেমিক কংকাল ১০১, ২০১, ৩০১, ৪০১, ৫০১, ৬০১ আর ৭০১ নম্বরের সিডিতে নিজের গল্প লিখে রেখেছে , যা কিনা একটা সিডিতেই এঁটেভ যেত । এক থেকে একহাজার পর্যন্ত সবুজ মার্কার দিয়ে মার্ক করেছিল কংকালটা , যাতে খুঁজতে অসুবিধা না হয় । সিডি তো রয়েছে , কিন্তু কমপিউটার আর মনিটর লোপাট বা ল্যাওপটপ থাকলে সেটি লোপাট । ল্যাপটপ ছিল না , ডেস্কটপই ছিল , কেননা কি-বোর্ড পড়ে আছে । বাড়িতে কোথাও মার্কার বা পেন-পেনসিল কিচ্ছু নেই । কেউ ওই ধরণের জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলে থাকবে । কে সে ? মায়া পাল ? মিলি ? না অন্য কেউ ? কংকালটা ওর ফিকল্স ডিপজিট , গভমেন্ট সিকিউরিটি, শেয়ার সার্টিফিকেত ইত্যাদির কথা লিখেছে আরেকটা সিডিতে । তা সেগুলো গেল কোথায় ? ওগুলো যে-কেউ ভাঙাতে পারবে না, যদি না কংকালটা মরার আগে তার নামে ট্রান্সফার করে দিয়ে থাকে । খুনি জোর করে সই করিয়ে মেরে ফ্যালেনি তো ?
রিমার ক্লু খোঁজার চেষ্টা চলছে । প্রথম এবং দ্বিতীয় তদন্তকারী অফিসাররা ভেবেছিলেন সব কয়টা সিডিই হয় ফিল্ম নয় গান । সব কয়টা দেখার প্রয়োজন মনে করেননি । তাংছাড়া একটায় তেলেগু লেখা দেখে আশাহত হন দ্বিতীয় ওসি রমেনদা ।
রিমার চাকরিতে বহাল আর প্রোমোশান নির্ভর করছে এই রহস্য অনুসন্ধানের ওপর । লক আপে একজন আসামিকে মেরে ফেলার অভিযোগে ও সাসপেন্ডেড ; যদিও এনকোয়ারি কমিশন ওকে বেনিফিট অব ডাউট দিয়েছে । চাকরিতে বহাল আর প্রোমোশান আটকে আছে । ওর নামই সংবাদপত্র  আর টিভির সাংবাদিকরা দিয়েছে ডার্টি ফেয়ারি বা নোংরা পরি, আমেরিকার কোনো মারকুটে পুলিস অফিসারের নামের আদলে । সে নাকি বলত ‘মেক মাই ডে’ । সাংবাদিকরা সেরকম গল্পই ছড়িয়েছে  রিমা খান সম্পর্কে ; রিমা খানের উক্তি হল  ‘একে ববিটাইজ কর ‘। সাংবাদিকদের মতে , রিমা নাকি পুরুষ আসামিদের ভয় দেখায়, লিঙ্গের চারপাশের চুল নাপিত ডেকে কামিয়ে একজন কন্সটেবল ক্ষুর নিয়ে অপেক্ষা করে । অপরাধীকে চেয়ারে বেঁধে তার দুহাত আর দুপা দুদিকে টান-টান করে বেঁধে রাখা হয় ।  রিমা খানের চোখের সামনে । তাতেই কাজ হয়।  ডাকসাইটে গুন্ডার কাছেও তার যৌনাঙ্গের চেয়ে পার্থিব-অপার্থিব দামি কোনো বস্তু নেই । মিডিয়াতে রসিয়ে-রসিয়ে রঙিন ছবি এঁকে তুলে ধরা হয়েছে ।
মা-বাবা বলেন, তোকে কেই বা বিয়ে করবে এবার ! সাংবাদিকরা জিগ্যেস করে, মেয়ে হয়ে নোংরা গালাগাল ইউজ করেন ? অপরাধীদের থানায় এনেই আপনি নাকি হুমকি দ্যান যে নপুংসক করে দেব তোকে ।  রিমার সোজাসাপটা উত্তর, কেন, মেয়েমানুষের জন্যে ভাষা আলাদা, শব্দভাঁড়ার পৃথক ? মেয়েরা পাদবে না, ঢেঁকুর তুলবে না, যৌনকর্মে প্যাসিভ থাকবে । যত্তো সব ব্লাডি রাসকেল বাঙালি মধ্যবিত্ত পুরুষ ।
নোংরা পরি ! আর নাম পেলি না তোরা ? আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন তোলে রিমা ।  তবে প্রেমিক কংকালটার গল্প বেশ ইনটারেস্টিং মনে হচ্ছে । এককালে মেয়েদের নিয়ে জব্বর লীলে করেছে দেখছি ।
পড়া বজায় রাখল রিমা ।
নারীরা আমার ভাসমান জাহাজের অ্যাংকর । হ্যাঁ, অ্যাংকর কথাটা সঠিক । মেয়েমানুষ হল অ্যাংকর, নোঙর, যে স্হিরতা দেয় । চেতনার তরল কোলাহলের হইচই ঘিরে এক নারী-দেয়াল । কোনোপ্রকার আদর্শ ছাড়াই নোঙরের অধিযন্ত্র  গড়ে তোলে এমন একটা মূল্যমান যাতে অজান্তেই সঙ্গতিপূর্ণভাবে একাগ্র হওয়া যায় । অমন একাগ্রতার দরুণ মগজটা আর মনের ওপর চড়াও হতে পারে না । অবিরাম দাসত্বকে লাগাতার উদ্ভাবনা দিয়ে মনোযোগের ঘেরাটোকে সতত উদ্দীপিত রাখার আর কি-ই বা  উপায় আছে ? অন্তত আমি তো তা জানি না । বেঁচে থাকার তেজ খরচ করার জন্যে এর চেয়ে আরামপ্রদ আকর্ষণ আর নেই । দুঃখ কষ্ট যাতনা একাকীত্ব গ্লানি ইত্যাদির চেয়ে উন্নত কোনো আরাম আছে কি ? নেই ।
ওই আকর্ষণের ফলে  যাবতীয় এনার্জি নেতিবাচক নির্গমপথের বদলে ইতিবাচক রাস্তায় চালিত করা গেছে । জীবনের ঝড় জঞ্জাল নোংরামির ঘূর্ণিপাকে উচ্চতর মহত্তর পরমোল্লাস । বোথহয় একেই বলে আধ্যাত্মিক প্রাপ্তি । মায়া এনে দিয়েছিল ।
এই সিডিটা এখানেই শেষ দেখছি , নিজেকে শুনিয়ে বলল রিমা । এরকম টুকরো-টুকরো লিখেছে কেন ? টাইমপাস না অন্য কিছু ? পড়ার মজা নষ্ট হয়ে যায় 

0 comments:

Post a Comment