১। কোরআনে বর্ণিত সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা আজাবান্নার।’ অর্থ : হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর, আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও।
সূরা বাকারা : ২০১
২। ফরজ সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হল রাতের সালাত অর্থাৎ তাহাজ্জুদের সালাত। ” —বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ)
---[সহীহ্ মুসলিমঃ→ ২৮১২]
★বিনয় মানুষকে সৌন্দর্য দান করে।" ---হযরত আলী (রাঃ)
৩। যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও
সওয়াবের আশায় রমযান মাসে রোযা
রাখে, আল্লাহ তাআলা তার পুর্বের
সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেন । (বুখারি)
৪। রসূল (স) বলেছেন:
বৈধ ও হালাল জীবিকার ইবাদত
ছাড়া
কোনো প্রকার ইবাদত আল্লাহ্র
নিকট উঠানো হয় না ।
সহীহ আল-বুখারী, হদীস- 6993
সমাজে বহুল প্রচলিত কয়েকটি শিরক....
(যা তওবা না করে মারা গেলে
নিশ্চিত জাহান্নাম)
৫। শরিরে যেকোন প্রকার তাবিজ
ঝুলানো শিরক
[মুসনাদে আহমদ: ১৭৪৫৮, সহিহ হাদিস:৪৯২]
৬। আল্লাহ ব্যাতিত অন্য কারো নামে
কসম করা শিরক
[আবু দাউদ:৩২৩৬(ইফা)]
৭। কোন কিছুকে শুভ-অশুভ লক্ষন বা কুলক্ষণ
মনে করা শিরক
[বুখারি :৫৩৪৬, আবু দাউদ:৩৯১০]
৮। কেউ পেছন দিক থেকে ডাক দিলে
কিংবা নিজে যাত্রার সময় পিছন
ফিরে তাকালে যাত্রা অশুভ হয় এই
ধারনা বিশ্বাস করা শিরক (বুখারি, আবু
দাউদ:৩৯১০)
৯। আল্লাহর গুনবাচক নামে অন্য কাউকে
ডাকা শিরক (যেমন: কুদ্দুস, রাহমান,
রহীম, জাব্বার, সালাম, মুমিন ইত্যাদি)
এক্ষেত্রে নামের আগে "আব্দুল্লাহ"
বসাতে হবে।
[সুরা আরাফ:১৮০, ইসরা:১১০, হাশর]
১০। "খোদা" বলে আল্লাহকে ডাকা
শিরক। মোট কথা আল্লাহর দেয়া
গুনবাচক নাম ব্যাতিত অন্য কোন নামে
তাকে ডাকা শিরক।
[সুরা আরাফ:১৮০, ইসরা:১১০, হাশর]
১১। 'তর ভবিষ্যত অন্ধকার', 'তর কপালে বহুত
কষ্ট আছে', এইধরনের গায়েবি কথা
কাউকে বলা শিরক
[সুরা নমল:৬৫, আল জিন:২৫-২৬, আনাম:৫৯]
১২। হোচট খেলে কিংবা পেচা ডাকলে
সামনে বিপদ আছে এই ধারনা শিরক
(সুরা আনাম:১৭, ইউনুস:১০৭)
১৩।রোগ ব্যাধি বা বিপদ-আপদ থেকে
রক্ষা পেতে শরিরে পিতলের বালা,
শামুক, ঝিনুকের মালা, সুতা, কিংবা
যেকোন প্রকারের বস্তু লটকানো শিরক।
[তির্মিযি, আবু দাউদ ও হাকেম]
১৪। সফলতা কিংবা মংগল লাভের জন্য
এবং অমংগল থেকে রক্ষা পেতে
যেকোন প্রকার আংটি ব্যাবহার করা
শিরক।
[সুরা আনাম:১৭, ইউনুস :১০৭]
১৫। যে কোন জড় বস্তুকে সম্মান দেখানো
তথা তাযীম করা বা তার সামনে
নিরবতা পালন করা শিরক
যেমন: পতাকা, স্মৃতিসৌধ, শহিদ মিনার
কিংবা মাজার ইত্যাদি।
[সুরা বাকারাহ:২৩৮, আহকাফ:৫, ফাতহুল
বারি ৭/৪৪৮, আবু দাউদ:৪০৩৩]
১৬। আল্লাহর ছাড়া অন্য কারো সন্তুষ্টি
অর্জনের জন্য কিংবা লোক দেখানো
ইবাদাত করা শিরক
[সুরা আনাম:১৬২, বাইয়িনাহঃ ৫,
কাহফ:১১০,ইমরান:৬৪, ইবনে মাজাহ হা
নং৫২০৪]
১৭। আল্লাহ ব্যাতিত কোন গণক বা অন্য
কেউ গায়েব জানে এই কথা বিশ্বাস
করা শিরক
[সুরা নমল:৬৫, আল জিন:২৬, আনাম:৫৯]
১৮। আল্লাহর ছাড়া কোন পির-আওলিয়া
এবং কোন মাজারের নিকট দুয়া করা
বা কোন কিছু চাওয়া শিরক
[সুরা ফাতিহা:৪, আশ শোআরা:২১৩,
গাফির:৬০, তির্মিযি]
১৯। "আপনি চাইলে এবং আল্লাহ চাইলে
এই কাজটি হবে" এই কথা বলা শিরক
(নাসাঈ শরিফ)
২০। মাজারে ও কোন পির-ফকির কিংবা
কারো নিকট সিজদা দেয়া শিরক
[সুর জীন: ২০, মুসলিম:১০৭৭,
আবু দাউদ, মুত্তাফাকুন আলাই]
২১। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো বা
যেকোন পির-আওলিয়া কিংবা
মাজারের নামে নামে মানত করা
শিরক। তবে মানত না করাই উত্তম
[সহিহ বুখারি: অধ্যায় : তাকদির]
আল্লাহ বলেন,,
নিসন্দেহে আল্লাহ ইচ্ছা করলে
যেকোন গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন কিন্তু
শিরকের গুনাহ কখনো ক্ষমা করবেন না
(সুরা নিসা :৪৮,১১৬)
২২। নিশ্চয় যে ব্যাক্তি আল্লাহর সাথে
অংশীদার স্থির করে আল্লাহ তার জন্য
জান্নাতকে হারাম করে দেন এবং
জাহান্নামকে অবধারিত করে দেন
(সুরা মায়িদাহ:৭২)
শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় ধ্বংসত্মাক
বিষয়। শত পাপ করলে ও কিয়ামতের দিন
তা ক্ষমার সম্ভবনা আছে কিন্তু
শিরকের পাপ ক্ষমার কোন সম্ভবনাই নেই
এবং তা নিসন্দেহে জাহান্নামে
নিয়ে যাবে।
.
ইয়া আল্লাহ আমাদের সকলকে শিরক
থেকে বাচার তৌফিক দান করুন
0 comments:
Post a Comment