Thursday, October 29, 2015

চুল পড়ার ১০টি কারন

চুল পড়ার ১০টি কারন

চুল অন্তস্ত্বক বা ত্বকের
বহিঃস্তরে অবস্থিত ফলিকল
থেকে উৎপন্ন চিকন লম্বা সুতার
মতোন প্রোটিন তন্তু। শুধুমাত্র
স্তন্যপায়ী প্রাণির শরীরে
পাওয়া যায় বলে চুল স্তন্যপায়ী
প্রাণির একটি নির্দেশক
বৈশিষ্ট্য। চুলের প্রধান উপাদান
হচ্ছে কেরাটিন। মানুষ ব্যতীত
অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণির
শরীরে যে নরম, সুন্দর চুল পাওয়া
যায় তাকে "ফার" বা লোম বলে।
চুলের এত যত্ন করেন, দামী শ্যাম্পু
মাখেন, পার্লারে গিয়ে
ট্রিটমেন্ট করান, সকল নিয়ম মেনে
চলেন, তবুও পড়ে চুল? তাহলে
জেনে রাখুন, ভুল লুকিয়ে আছে
আপনার গোসল করা বা চুল ধোয়ার
পদ্ধতির মাঝে! অনেকেরই, বিশেষ
করে মেয়েদের চুল পড়ার একটি
বিশাল কারণ হচ্ছে এই ভুলগুলো।
জেনে নিন ১০টি ভুল, যেগুলো
কমবেশি আমরা সবাই করি।
১) সবচাইতে বড় যে ভুলটি করি
আমরা, সেটি হচ্ছে রোজ চুল
ধোয়া। হ্যাঁ, রোজ গোসল করা খুবই
জরুরী, কিন্তু রোজ চুল ধোয়া বা
চুলে পানি লাগানো জরুরী নয়।
আপনি দৈনিক কতটা সময় বাইরে
থাকেন সেটার ওপরে নির্ভর করে
চুল ধোবেন। চুল নোংরা না হলে
রোজ চুলে পানি লাগানোর কোন
প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে যাদের
বেশী লম্বা ও ঘন চুল, তাঁরা তো
মোটেও এটা করবেন না। এমন চুল
শুকাতে সময় লাগে, অনেকটা সময়
গোঁড়া ভেজা থাকার ফলে চুল
দুর্বল হয়ে যায়।
২) দিনে ২/৩ বার গোসলের অভ্যাস
থাকলেও ২/৩ বারই চুল ভেজাবেন
না। এর চাইতে খারাপ অভ্যাস আর
কিছুই হতে পারে না।
৩) রোজ চুলে শ্যাম্পু করবেন না,
সেটা যত ভালো ও দামী শ্যাম্পুই
হোক না কেন।
৪) প্রত্যেকবার শ্যাম্পু করার সময়
কন্ডিশনার ব্যবহার করা আরেকটি
বড় ভুল। আমরা প্রায় সকলেই মনে
করি যে কন্ডিশনার লাগালে চুল
ভালো থাকে। এটি আসলে খুবই ভুল
একটি ধারণা। কন্ডিশনার
লাগালে চুল ভালো থাকে না,
বরং সাময়িক একটা নরম ও
উজ্জ্বলতা আসে কন্ডিশনারে
উপস্থিত রাসায়নিকের কারণে
যা মোটেও ভালো নয়। বরং
নিয়মিত কন্ডিশনার ব্যবহার করলে
চুল পড়ার হার বেড়ে যায় অনেক
বেশী।
৫) গোসলের পর পরই ভেজা চুল
আঁচড়াতে বসে যাওয়া আরেকটি
বড় চুল। গোসলের পর চুল থাকে নরম ও
ভঙ্গুর। এমন সময়ে আঁচড়ালে চুল
ভেঙে ও ঝরে যাওয়ার হার
বেড়ে যায় অনেক।
৬) গোসলে যাওয়ার আগে বা
শ্যাম্পু করার আগে মোটা দাঁতের
চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন।
এতে চুলে জট পড়বে না, চুল ভাঙবে
না ও ছিঁড়বে না।
৭) তোয়ালে দিয়ে ঘষে ঘষে চুল
মোছার অভ্যাস বাদ দিন। এই
বাজে অভ্যাসের কারণে চুলের
আগা ফেটে যায় ও প্রচুর চুল ঝরে।
৮) গোসলের পর অনেকটা সময়
মাথায় তোয়ালে পেঁচিয়ে
রাখবেন না। এতে চুলের ওপরে
চাপ পড়ে, চুল ভেঙে যায়, যত দ্রুত
সম্ভব চুল শুকিয়ে ফেলুন।
৯) চুল দ্রুত শুকাবার জন্য হেয়ার
ড্রায়ার ব্যবহার করা বা রোদে
বসে চুল শুকানো আরেকটি ভুল
অভ্যাস। অতিরিক্ত উত্তাপে চুলের
মারাত্মক ক্ষতি হয়। ফ্যানের
বাতাসের নিচে চুল শুকানোই
উত্তম।
১০) অনেকেই আছে দুপুরে বা
রাতে গোসলের পর চুল পুরোপুরি
না শুকিয়েই ঘুমিয়ে পড়েন, এই
কাজটি মোটেও করবেন না। এতে
চুলের গোঁড়া দুর্বল হয়ে যায়।

0 comments:

Post a Comment