Sunday, October 27, 2019

Monday, March 27, 2017

Thursday, June 23, 2016

দোয়া এবং হাদিস পর্ব ১

১। কোরআনে বর্ণিত সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা আজাবান্নার।’ অর্থ : হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর, আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও।
সূরা বাকারা : ২০১

২। ফরজ সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হল রাতের সালাত অর্থাৎ তাহাজ্জুদের সালাত। ” —বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ)
---[সহীহ্ মুসলিমঃ→ ২৮১২]
★বিনয় মানুষকে সৌন্দর্য দান করে।" ---হযরত আলী (রাঃ)

৩। যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও
সওয়াবের আশায় রমযান মাসে রোযা
রাখে, আল্লাহ তাআলা তার পুর্বের
সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেন । (বুখারি)

৪। রসূল (স) বলেছেন:
বৈধ ও হালাল জীবিকার ইবাদত
ছাড়া
কোনো প্রকার ইবাদত আল্লাহ্র
নিকট উঠানো হয় না ।
সহীহ আল-বুখারী, হদীস- 6993

সমাজে বহুল প্রচলিত কয়েকটি শিরক....
(যা তওবা না করে মারা গেলে
নিশ্চিত জাহান্নাম)

৫। শরিরে যেকোন প্রকার তাবিজ
ঝুলানো শিরক
[মুসনাদে আহমদ: ১৭৪৫৮, সহিহ হাদিস:৪৯২]

৬। আল্লাহ ব্যাতিত অন্য কারো নামে
কসম করা শিরক
[আবু দাউদ:৩২৩৬(ইফা)]

৭। কোন কিছুকে শুভ-অশুভ লক্ষন বা কুলক্ষণ
মনে করা শিরক
[বুখারি :৫৩৪৬, আবু দাউদ:৩৯১০]

৮। কেউ পেছন দিক থেকে ডাক দিলে
কিংবা নিজে যাত্রার সময় পিছন
ফিরে তাকালে যাত্রা অশুভ হয় এই
ধারনা বিশ্বাস করা শিরক (বুখারি, আবু
দাউদ:৩৯১০)

৯। আল্লাহর গুনবাচক নামে অন্য কাউকে
ডাকা শিরক (যেমন: কুদ্দুস, রাহমান,
রহীম, জাব্বার, সালাম, মুমিন ইত্যাদি)
এক্ষেত্রে নামের আগে "আব্দুল্লাহ"
বসাতে হবে।
[সুরা আরাফ:১৮০, ইসরা:১১০, হাশর]

১০। "খোদা" বলে আল্লাহকে ডাকা
শিরক। মোট কথা আল্লাহর দেয়া
গুনবাচক নাম ব্যাতিত অন্য কোন নামে
তাকে ডাকা শিরক।
[সুরা আরাফ:১৮০, ইসরা:১১০, হাশর]

১১। 'তর ভবিষ্যত অন্ধকার', 'তর কপালে বহুত
কষ্ট আছে', এইধরনের গায়েবি কথা
কাউকে বলা শিরক
[সুরা নমল:৬৫, আল জিন:২৫-২৬, আনাম:৫৯]

১২। হোচট খেলে কিংবা পেচা ডাকলে
সামনে বিপদ আছে এই ধারনা শিরক
(সুরা আনাম:১৭, ইউনুস:১০৭)

১৩।রোগ ব্যাধি বা বিপদ-আপদ থেকে
রক্ষা পেতে শরিরে পিতলের বালা,
শামুক, ঝিনুকের মালা, সুতা, কিংবা
যেকোন প্রকারের বস্তু লটকানো শিরক।
[তির্মিযি, আবু দাউদ ও হাকেম]

১৪। সফলতা কিংবা মংগল লাভের জন্য
এবং অমংগল থেকে রক্ষা পেতে
যেকোন প্রকার আংটি ব্যাবহার করা
শিরক।
[সুরা আনাম:১৭, ইউনুস :১০৭]

১৫। যে কোন জড় বস্তুকে সম্মান দেখানো
তথা তাযীম করা বা তার সামনে
নিরবতা পালন করা শিরক
যেমন: পতাকা, স্মৃতিসৌধ, শহিদ মিনার
কিংবা মাজার ইত্যাদি।
[সুরা বাকারাহ:২৩৮, আহকাফ:৫, ফাতহুল
বারি ৭/৪৪৮, আবু দাউদ:৪০৩৩]

১৬। আল্লাহর ছাড়া অন্য কারো সন্তুষ্টি
অর্জনের জন্য কিংবা লোক দেখানো
ইবাদাত করা শিরক
[সুরা আনাম:১৬২, বাইয়িনাহঃ ৫,
কাহফ:১১০,ইমরান:৬৪, ইবনে মাজাহ হা
নং৫২০৪]

১৭। আল্লাহ ব্যাতিত কোন গণক বা অন্য
কেউ গায়েব জানে এই কথা বিশ্বাস
করা শিরক
[সুরা নমল:৬৫, আল জিন:২৬, আনাম:৫৯]

১৮। আল্লাহর ছাড়া কোন পির-আওলিয়া
এবং কোন মাজারের নিকট দুয়া করা
বা কোন কিছু চাওয়া শিরক
[সুরা ফাতিহা:৪, আশ শোআরা:২১৩,
গাফির:৬০, তির্মিযি]

১৯। "আপনি চাইলে এবং আল্লাহ চাইলে
এই কাজটি হবে" এই কথা বলা শিরক
(নাসাঈ শরিফ)

২০। মাজারে ও কোন পির-ফকির কিংবা
কারো নিকট সিজদা দেয়া শিরক
[সুর জীন: ২০, মুসলিম:১০৭৭,
আবু দাউদ, মুত্তাফাকুন আলাই]

২১।  আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো বা
যেকোন পির-আওলিয়া কিংবা
মাজারের নামে নামে মানত করা
শিরক। তবে মানত না করাই উত্তম
[সহিহ বুখারি: অধ্যায় : তাকদির]
আল্লাহ বলেন,,
নিসন্দেহে আল্লাহ ইচ্ছা করলে
যেকোন গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন কিন্তু
শিরকের গুনাহ কখনো ক্ষমা করবেন না
(সুরা নিসা :৪৮,১১৬)

২২। নিশ্চয় যে ব্যাক্তি আল্লাহর সাথে
অংশীদার স্থির করে আল্লাহ তার জন্য
জান্নাতকে হারাম করে দেন এবং
জাহান্নামকে অবধারিত করে দেন
(সুরা মায়িদাহ:৭২)
শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় ধ্বংসত্মাক
বিষয়। শত পাপ করলে ও কিয়ামতের দিন
তা ক্ষমার সম্ভবনা আছে কিন্তু
শিরকের পাপ ক্ষমার কোন সম্ভবনাই নেই
এবং তা নিসন্দেহে জাহান্নামে
নিয়ে যাবে।
.
ইয়া আল্লাহ আমাদের সকলকে শিরক
থেকে বাচার তৌফিক দান করুন

Friday, June 3, 2016

Polytechnic ভর্তির আবেদন করার পদ্ধতি ও নিয়মাবলী:





১. ভর্তিচ্ছুক প্রার্থীকে অন-লাইনে ১ম ও ২য় শিফটের যে কোন এক শিফটের জন্য আবেদন ফি বাবদ ১৫০.০০ (একশত পঞ্চাশ টাকা ) অথবা উভয় শিফটে আবেদনের জন্য আবেদন ফি বাবদ ৩০০.০০ (তিনশত টাকা) প্রথমে টেলিটক প্রিপেইড মোবাইলের মাধ্যমে 16222 নম্বরে SMS করে জমা দিতে হবে। অতঃপর কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট- www.techedu.gov.bd এর Home page হতে অনলাইন ভর্তি (ডিপ্লোমা পর্যায়) button এ click করে application form open করে যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে । বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি. উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের নম্বর পত্রের সত্যায়িত কপি ও পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি সত্যায়িত রঙ্গীন ছবিসহ নির্ধারিত ফরমে আবেদন পত্র আগামী ১২/০৬/২০১৬ তারিখ অফিস চলাকালীন সময়ের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের নিচতলায় অবস্থিত সেবাকেন্দ্রে সরাসরি অথবা ডাকযোগে পৈাঁছানো নিশ্চিত করতে হবে। সংরক্ষিত কোটার আবেদন কারীগণ অন লাইনে আবেদন করার পরে আবেদনের প্রিন্টকপি ও অনুচ্ছেদ ১০.৩ এ বর্ণিত সকল কাগজ ১২/০৬/২০১৬ তারিখের মধ্যে ডাকযোগে/সরাসরি অফিস চলাকালীন সময়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের নিচতলায় অবস্থিত সেবাকেন্দ্র সরাসরি অথবা ডাকযোগে পৈাঁছানো নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় তার কোটা বিবেচিত হবে না। ভর্তির ফরম পূরনের বিস্তারিত নিয়মাবলী কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েব সাইটে পাওয়া যাবে।

২. ফি জমা দেয়ার পদ্ধতিঃ  টেলিটকের Prepaid মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মেসেজ অপশনে গিয়ে DTE লিখে, স্পেস দিয়ে শিক্ষাবোর্ডের নামের প্রথম তিনটি অক্ষর লিখে, স্পেস দিয়ে এস এস সি (SSC) পরীক্ষার রোল নম্বর লিখে , স্পেস দিয়ে এস. এস. সি. পাশের সন লিখে, স্পেস দিয়ে এস. এস. সি.র রেজিষ্ট্রেশন নম্বর লিখে, স্পেস দিয়ে ভর্তির শিফটের নির্ধারক অক্ষর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এস এম এস (SMS) করতে হবেঃ
উদাহরণঃ DTE <Space>XXX<Space>YYYYYY<Space>ZZZZ<Space>RRRRRR<Space>S
এখানে XXX এর জায়গায় আবেদনকারীর নিজের বোর্ডের নাম লিখতে হবে, ঢাকা বোর্ডের ক্ষেত্রে (DHA), সিলেট এর ক্ষেত্রে (SYL), বরিশালের ক্ষেত্রে (BAR), চট্টগ্রাম এর ক্ষেত্রে (CHI), কুমিল্লা এর ক্ষেত্রে (COM), দিনাজপুর এর ক্ষেত্রে (DIN), যশোর এর ক্ষেত্রে (JES), রাজশাহী এর ক্ষেত্রে (RAJ), মাদ্রাসা এর ক্ষেত্রে (MAD), কারিগরী এর ক্ষেত্রে (BTE), YYYYYY এর জায়গায় আবেদনকারীর নিজের এস এস সি পরীক্ষার রোল নম্বর, ZZZZ এর জায়গায় এস এস সি পাশের সন এবং RRRRRR এর জায়গায় এস এস সি পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন নম্বর এবং S-এর স্থলে ১ম শিফট (A), ২য় শিফট (B), উভয় শিফট (C) লিখতে হবে।

    SMS –প্রেরণকারী আবেদনের যোগ্য হলে ফিরতি SMS –এ একটি PIN , প্রার্থীর নাম, পিতার নাম এবং পরীক্ষার ফি হিসেবে ১ম ও ২য় শিফটের যে কোন এক শিফটের জন্য আবেদন ফি বাবদ ১৫০.০০ (একশত পঞ্চাশ টাকা ) অথবা উভয় শিফটে আবেদনের জন্য আবেদন ফি বাবদ ৩০০.০০ (তিনশত টাকা) কেটে রাখার সম্মতি চেয়ে ফিরতি SMS দেওয়া হবে। প্রার্থীকে তার নাম, পিতার নাম ইত্যাদি তথ্যাদি মনোযোগের সাথে দেখে নিয়ে তথ্যাদি সঠিক থাকলে সম্মতি দিতে হবে। সম্মতি দেয়ার জন্য নিম্নোক্ত ভাবে ১৬২২২ নম্বরে SMS পাঠাতে হবে ।
উদাহরণঃ DTE <Space>YES<Space>PIN<Space>Your mobile number
PIN নম্বরটি সঠিক ভাবে লেখা হলে উক্ত টেলিটকের prepaid মোবাইল থেকে ভর্তি ফি বাবদ ১ম ও ২য় শিফটের যে কোন এক শিফটের জন্য আবেদন ফি বাবদ ১৫০.০০ (একশত পঞ্চাশ টাকা ) অথবা উভয় শিফটে আবেদনের জন্য আবেদন ফি বাবদ ৩০০.০০ (তিনশত টাকা) কেটে রাখা হবে এবং প্রার্থীকে একটি Money Receipt Number সহ ফিরতি SMS দেয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, Money Receipt Number টি নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করতে হবে এবং Money Receipt Number টি পাওয়ার পরে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। Money Receipt Number ছাড়া কোনক্রমেই আবেদন ফরম পূরণ করা যাবে না।

আবেদন ফরম পূরণের ধাপঃ
  • কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট- www.techedu.gov.bd এর Home page হতে  অনলাইন ভর্তি (ডিপ্লোমা পর্যায়) button এ click করে application form open করতে হবে ।
  • Screen এ প্রদর্শীত  application form এর চাহিদা মোতাবেক তথ্যাদি লিপিবদ্ধ/নির্বাচন, entry/selection (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) করতে হবে ।
  • একজন প্রার্থীকে প্রথমেই তার পছন্দের শিফট (১ম বা ২য়) নির্বাচন করতে হবে।
  • Applicationform পূরণ শেষে Submit button এ ক্লিক করে ফিরতি message এর print নিতে হবে । উক্ত print কপিতে প্রদত্ত Track number ভর্তির রোল নং হিসেবে বিবেচিত হবে । কোন কারণে Track number সহ ফিরতি message print নিতে ব্যর্থ হলে পুনরায় একই ভাবে application form পুরণের চেষ্টা করতে হবে।
  • ভর্তির ফরম পূরণের বিস্তারিত তথ্যাদি ওয়েবসাইট হতে print নেয়া যাবে ।
.একজন প্রার্থী যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে টেকনোলজিতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক তাহা প্রতিষ্ঠান–টেকনোলজি ভিত্তিক পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে হবে ।
উদাহরণঃ ১ম শিফটে ভর্তির ক্ষেত্রে ঢাকা পলিটেকনিক-সিভিল, কুমিল্লা পলিটেকনিক-সিভিল, ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক-কম্পিউটার, ভিটিটিআই-ইলেকট্রিক্যাল, গাজীপুর টিএসসি- কম্পউটার এভাবে সর্বোচ্চ দশটি এবং ২য় শিফটের ভর্তির ক্ষেত্রেও একইভাবে সর্বোচ্চ ১০ টি অপশন নির্বাচন করা যাবে।
৪. একজন প্রার্থী আবেদনপত্র পুরনের জন্য নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কেবলমাত্র একবার সংশোধনের সুযোগ পাবে ।
৫. মেধা, কোটা ও আবেদনপত্রে প্রদত্ত পছন্দের ক্রমানুসারে ইনষ্টিটিউট-টেকনোলজী ভিত্তিক ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হবে।
৬.  আবেদনের সময় পাসপোর্ট আকারের রঙ্গীন ছবি দিতে হবে।
৭. আবেদন ফরম button এ click করলে তিনটি অপশন প্রদর্শিত হবে New Application, Update submitted form এবং View submitted form
৮. আবেদনকারী নতুন হলে New Application button এ click করবে।
৯. টাইপ Money Receipt Number, SSC Registration Number তারপর Verify Button এ Click করতে হবে। [ যদি আবেদনকারী জিপিএ ৩.৫ অথবা এর বেশি এবং সাধারণ গনিত অথবা উচ্চতর গনিত এ জিপি ৩ এর বেশি হয় তাহলে আবেদনকারীর বিস্তারিত তথ্য নীচে প্রদর্শিত হবে।]
১০. বাধ্যতামূলক ফিল্ডগুলো (*) অবশ্যই পূরন করতে হবে ।
১১. আবেদনকারী যদি একাধিক কোটাভূক্ত হয় তাহলে একাধিক কোটা Select করতে পারবেন।
১২. সকল তথ্য সঠিক হওয়া সত্ত্বেও আবেদন করতে অক্ষম হলে হেল্প লাইন এর প্রর্দশিত ই-মেইলে যোগাযোগ করতে পারবেন।
১৩. আবেদনকারী ১ম শিফটে সর্বোচ্চ দশটি এবং ২য় শিফটে সর্বোচ্চ দশটি Institute ও Department চয়েস করতে পারবেন।
১৪. আবেদনকারী যে কোন শিফটে একটি Institute এর মধ্যে দশটি Department অথবা একটি Institute এর কয়েকটি Department অথবা ভিন্ন Institute এর ভিন্ন Department চয়েস করতে পারবেন।
১৫. আবেদনকারী Choice 1 Radio Button এ Click করলে Institute এর নাম আসবে , Institute Select করলে এই Institute এর Department প্রদর্শিত হবে, চয়েস অনুযায়ী Department select করবেন এবং Save Choice Button এ অবশ্যই Click করবেন। Similarly Choice 2 Radio button click করে ভিন্ন চয়েস করতে পারবেন।
১৬. আবেদনকারী চয়েস শেষ হয়ে গেলে Submit Button এ Click করতে হবে । তারপর Feedback form প্রদর্শিত হবে । যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে আবেদনকারী Save Button এ Click করবেন।
১৭. আবেদনকারীকে অবশ্যই Track Number টা নোট করে রাখতে হবে, কারণ এই Track Number টা পরবর্তীতে Result এ ব্যাবহার করতে হবে।
১৮. ফরম Submit করার পর আবেদনকারী যদি তথ্য আপডেট করতে চান, তাহলে আবেদন ফরম থেকে Update Submitted form এ click করতে হবে এবং Track Number দিয়ে আবেদনকারী শুধু মাত্র একবার তথ্য আপডেট করতে পারবেন।
১৯. ছবির সর্বোচ্চ সাইজ ১৫০ kb এবং সর্বোচ্চ প্রস্থ, উচ্চতা যথাক্রমে ৩০০, ৩৬০ হতে হবে।
২০. মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র অবশ্যই jpg ফরমেটে হতে হবে। সনদপত্রের scan copy অবশ্যই 120kb এর মধ্যে হতে হবে।

Saturday, April 2, 2016

গিনেন বুকে স্থান পেতে যাচ্ছে টাংগাইল গোপালপুর এর নব নির্মিত মসজিদ.......... দেখুন বিস্তারিত।



দুইশো এক গম্বুজ বিশিষ্ট নির্মাণাধীন মসজিদটি সেখানকার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এতে বিভিন্ন জায়গায় দুইশো একটি গম্বুজের পাশাপাশি যে সুউচ্চ মিনার নির্মাণের নকশ প্রণয়ন করা হয়েছে তার উচ্চতা ৫৭ তলা ভবনের সমান। অর্থাৎ ৪৫১ ফুট।
নির্মিতব্য মসজিদটি ১৫ বিঘা জমির উপর নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি পূর্ণাঙ্গ একটি মসজিদ কমপ্লেক্স হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। মসজিদটিতে থাকবে অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। এর মেহরাবের দুই পাশে লাশ রাখার জন্য হিমাগারও তৈরি করা হবে। এছাড়াও থাকবে পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা।

কর্তৃপক্ষের দেয়া বর্ণনা মতে, মসজিদটিতে ২০১টি গম্বুজ থাকলেও এটি ছাদের মাঝখানে থাকবে ৮১ ফুট উচ্চতার সর্বাধিক বড় গম্বুজ। এই বড় গম্বুজটির চারদিকে তৈরি করা হবে ১৭ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ২০০টি গম্বুজ। এছাড়াও মসজিদের চার কোনায় ১০১ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট চারটি মিনারও থাকবে।
বিশাল এই মসজিদটির দেয়ালের অংকিত থাকবে পূর্ণ পবিত্র কোরআন শরিফ। এর প্রধান দরজা নির্মাণে ব্যবহার করা হবে ৫০ মণ পিতল। এছাড়াও মসজিদটির উত্তর ও দক্ষিণ পার্শ্বে আলাদা পাঁচতলা ভবনও নির্মাণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ওই ভবনে দুঃস্থ মহিলাদের জন্য বিনামূল্যের হাসপাতাল, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম ও দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি তাদের পরিবারকেও পূণর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
এছাড়াও টাঙ্গাইল জেলার পশ্চিমে ঝিনাই নদী থেকে মসজিদ পর্যন্ত সিঁড়ি করা হবে এবং নদীর ওপরে একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। মসজিদটির সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য চারপাশে হবে দেশি-বিদেশি ফুলের বাগান। থাকবে হ্যালিপ্যাড ব্যবস্থাও।
১৪৪ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪৪ ফুট প্রস্থের দুইতলা এই মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন এর সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মসজিদটির নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসের ১৩ তারিখ থেকে এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই মসজিদটির বেশিরভাগ কাজই প্রায় শেষের পথে। ২০১৬ সালের মধ্যে মসজিদের কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী বছরের প্রথম দিকে পবিত্র কাবা শরিফের ইমামের উপস্থিতি ও ইমামতির মাধ্যমে মসজিদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন মসজিদটির দেখাশোনার কাজে নিয়োজিত খাদেম মো. হুমায়ুন কবির।
উল্লেখ্য, মসজিদটির মিনারের উচ্চতা হবে ৪৫১ ফুট। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ইটের তৈরি মিনার হলো কুতুব মিনার। যা ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত। কুতুব মিনারের উচ্চতা ২৪০ ফুট। ফলে উচ্চতার দিক থেক দিল্লীর ওই কুতুব মিনারকেও ছাড়িয়ে এটি। মসজিদের স্থাপনাটি বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে নতুন করে তুলে ধরবে এবং এটি পরিদর্শন করতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগমন ঘটবে বলেও মনে করছেন সবাই।
দেশের টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলায় নির্মাণ হচ্ছে দুইশো এক গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ। নির্মাণের আগে মসজিদটির হাকঢাক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বিশ্বে। নির্মাতারা দাবী করছেন এটিই হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। এছাড়া এটির নির্মিতব্য মিনারটিও বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম মিনার বলে দাবী করছেন কর্তৃপক্ষগণ।