Saturday, November 21, 2015

যাকাত সম্পর্কে কিছু তথ্য। ( সংগৃহীত)

প্রশ্ন ০৬ : আল্লাহু আকবার ভাইয়া,
যাকাত নিয়ে এত চমৎকার কথা কখনো
তো শুনি নি? আপনি কি আমাকে
যাকাত সম্পর্কে আরো বিস্তারিত কিছু
বলবেন? এই যেমন আল্লাহ তায়ালা
কার কার উপর যাকাত দেয়া ফরজ করে
দিয়েছেন?
উত্তর: ইসলামী আইন শাস্ত্র (শরীয়াহ)
বিশেষজ্ঞগনের মতে এমন প্রত্যেক
ব্যক্তিরই উপর যাকাত আদায় করা ফরজ ,
যাদের মধ্যে নিম্নোক্ত শর্তাবলী
পাওয়া যায় - ১. মুসলিম ২. স্বাধীন ৩.
আকেল হওয়া ৪. বালেগ হওয়া ৫. নিসাব
পরিমান সম্পদ থাকা ৬. পূর্ণাঙ্গ
মালিকানা থাকা ৭. সম্পদের
মালিকানা পূর্ণ একবছর অতিবাহিত
হওয়া ।
(সুতরাং অমুসলিম, পরাধীন ক্রিতদাস ,
উন্মাদ (পাগল) , অপ্রাপ্তবয়স্ক নাবালেগ ,
নিসাবের চেয়ে কম পরিমানে সম্পদের
অধিকারী , যৌথসম্পত্তিতে এককভাবে
নিসাব পরিমানে সম্পদের মালিক না
হওয়া , নিসাব পরিমান সম্পদ পূর্ন একবছর
মালিকানায় না থাকলে তার উপর
যাকাত প্রদান ফরজ নয়) আল্লাহ তায়াল
সূরা বাক্বারাতে ২৬৭ নং আয়াতে
ইরশাদ করেছেন * 'হে মুমিনগণ! তোমরা
তোমাদের বৈধ উপার্জন এবং আমি
তোমাদের জন্য ভূমি থেকে যে শস্য
উৎপন্ন করি তা থেকে আল্লাহর
নির্দেশিত পথে ব্যয় কর।' * সূরা
বাইয়্যিনাহ আয়াত - ৫ তে আল্লাহ
তায়াল ঈমানদারদেরকে উদ্যেশ্য করে
ইরশাদ করেন 'তাদের এ মর্মে আদেশ
করা হয়েছে যে, তারা নিবিষ্ট মনে
একান্তভাবে শুধুমাত্র আল্লাহ
তায়ালা'র এবাদত করবে, যথাযথভাবে
সালাত আদায় করবে, জাকাত প্রদান
করবে, আর এটাই হলো সুপ্রতিষ্ঠিত
দ্বীন।'
প্রশ্ন ০৭ : আপনি বললেন কোন স্বাধীন,
জ্ঞানবান, প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম
ব্যাক্তির মালিকানায় পূর্ণ একবছর
নিসাব পরিমান সম্পদ থাকতে তবেই
তার উপর যাকাত দেয়া ফরজ হয়! সবই তো
বুঝলাম কিন্তু নিসাব পরিমান সম্পদ এর
মালিকানা বলতে আমাদের সমাজের
প্রচলিত পরিমাপে ঠিক কতটুকু সম্পদের
মালিকানা কে বুঝায় একটু বুঝিয়ে
বলবেন কি?
উত্তর: নিসাব হচ্ছে তৎকালীন মদীনা
রাস্ট্রে কোন খাদ্য দ্রব্য, সোনা-রুপা ,
পন্য ইত্যাদি পরিমাপের প্রচলিত ওজন
পদ্ধতি , যা রাসূল (সঃ) এর সময়কালীন
থেকে শুরু করে পরবর্তীতে
খোলাফায়ে রাশেদা সহ আরো অনেক
বছর প্রচলিত ছিল।
বর্তমানে আমাদের সমাজে যেমন তরল
কিছু মাপার জন্য লিটার পদ্ধতি, কঠিন
দ্রব্য, পন্য ফসলাদি ইত্যাদি পরিমাপের
জন্য কেজি / সের ইত্যাদি একেকধরনের
বস্তুতে একেকরকম পরিমাপ একক ধরা হয়
ঠিক তেমনি করে ইসলামী শরীয়াতে
যাকাতযোগ্য একেকধরনের বস্তুর উপর
একেকরকম পরিমাপ হিসেবে নিসাব
ধর্তব্য হয়।
* প্রথমত: যেমন ভূমি থেকে উৎপন্য
ফসলাদি তে নিসাবের পরিমান হল:
আল্লাহ তায়ালা সূরা বাক্বারার ২৬৭
আয়াতে বলেছেন 'আমি তোমাদের
জন্য ভূমি থেকে যে শস্য উৎপন্ন করি তা
থেকে আল্লাহর নির্দেশিত পথে ব্যয়
(যাকাত প্রদান) কর।' * হাদীসে
এসেছে ‘ বৃষ্টির পানিতে উৎপাদিত
শস্য ও ফল-ফলাদিতে পাঁচ ওসক পরিমাণ
সম্পদ নিসাব হিসেবে ধর্তব্য । ইসলামি
শরীয়া আইনে,
এক ওসক = ৬০ 'সা' সুতরাং ৫ ওসক = ৩০০
সা'
আমাদের সমাজে বর্তমানে প্রচলিত
পরিমাপ পদ্ধতিতে হিসাব করলে এক
'সা' = ২০৪০ গ্রাম সুতরাং ৩০০ সা' =
৬১২০০০ গ্রাম = ৬১২ কেজি / ১৫.৩ মন
* সুতরাং যদি কারো জমিতে আকাশ
থেকে পতিত বৃষ্টিপাত ও আল্লাহ
তায়ালা'র দয়ায় ৬১২ কেজি / ১৫.৩ মন
কৃষিপন্য (ধান, গম প্রধান খাদ্যদ্রব্য
ইত্যাদি) উৎপাদিত হয় তবে তা নিসাব
পরিমান সম্পদ বলে গন্য হবে । তাদের
ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালার বিধান
হল" 'ফসল কাটার সময় তার হক (জাকাত)
আদায় কর।' সূরা আনআম-১৪১* এ ধরনের
সম্পদে যাকাত দিতে হবে বিনাশ্রমে
প্রাপ্ত মোট উৎপাদিত ফসলের
জাকাতের পরিমাণ হল এক দশমাংশ আর
শ্রম ব্যয়ে প্রাপ্ত ফসলে জাকাতের
পরিমাণ হল এক বিশমাংশ। এ প্রসঙ্গে
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেন : 'বৃষ্টির পানিতে
উৎপন্ন ফসল ও উশরী জমিতে উৎপন্ন
ফসলের জাকাত বিশ ভাগের একভাগ।
* দ্বিতীয়ত: যদি কারো মালিকানায়
সায়িমা সংখ্যক তারমানে
আলাদাআলাদা ন্যুনতম ৫টি উট অথবা
৩০টি গরু-মহিষ অথবা ৪০ টি ছাগল-
ভেরা-দুম্বা অথবা একত্রে নিসাব
পরিমাণ প্রানীর মালিকানা
বিদ্যমান থাকে তবে তাকে এগুলোর
মূল্য নির্ধারন করে ২.৫% হারে যাকাত
দিতে হবে ।
* তৃতীয়ত: সোনা-রুপা: স্বর্ণের নিসাব
হল ২০ দিনার। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
‘'সোনা বিশ দিনার পরিমাণ হলে
তাতে জাকাত ফরজ হবে।’ রাসূলুল্লাহ
(সঃ) প্রবর্তীত ইসলামী পরিমাপ
পদ্ধতিতে এক দিনার সমান এক
মিছকাল।
* ১ দিনার = ১ মিছকাল = ৪.২৫ গ্রাম
* সুতরাং ২০ দিনার = ২০ মিছকাল = ৮৫
গ্রাম।
* যা এ দেশীয় মাপে ৭.৫ ভরি হয়। এখন
২২ ক্যারটে ভরি ধর্তব্য হলে আর
প্রতিগ্রাম স্বর্ণের বর্তমান বাজারমূল্য
৪১৭০ টাকা হিসেবে গনণা করলে
৮৫গ্রাম /৭.৫ ভরি স্বর্ণের দাম আসে
৪১৭০*৮৫=৩৬৪৭৮৫ টাকা। ২.৫ % হারে
আপনাকে যাকাতের টাকা পরিশোধ
করতে হবে ।
* ঠিক এমনিভাবে রূপার নিসাব হলো
পাঁচ আওকিয়া। এক আওকিয়া = ৪০
ইসলামী দিরহাম। সে মতে রূপার
নিসাব হল পাঁচ আওকিয়া = ২০০
দিরহাম। আর এক দিরহাম হল এক
মিছকালের সাত দশমাংশ, এর মোট ওজন
১৪০ মিছকাল, যার বর্তমান প্রচলিত ওজন
হল, ৫৯৫ গ্রাম। যা এ দেশীয় মাপে ৫২.৫
ভরি, তা থেকে ৪০ ভাগের ১ ভাগ
জাকাত দেয়া ফরজ।
* মনে রাখবেন, কাগজের তৈরি
নোটের ওপরও জাকাত ওয়াজিব। কারণ
এ নোটগুলো রূপার বদলেই চলমান,
সুতরাং এগুলো রূপার স্থলাভিষিক্ত
হবে এবং এর মূল্য রূপার নিসাবের
সমপরিমাণ হলে, তাতে জাকাত
ওয়াজিব হবে।
* চতুর্থতঃ স্থাবর-অস্থাবর সকল প্রকার
ব্যবসায়ী পণ্যের ওপর জাকাত ওয়াজিব।
সেগুলোর সর্বশেষ বাজার মূল্য নির্ধারণ
করে ২.৫% হারে যাকাত প্রদান করতে
হবে। বিভীন্ন ফ্যাক্টরিতে
মেশিনারিজ বা খুচরা যন্ত্রাংশ ও এ
জাতীয় ক্ষুদ্র পণ্যের ব্যবসায়ীদের কর্তব্য
হল, ছোট-বড় সকল অংশের মূল্য নিধারণ
করে নিবে, যাতে কোন কিছু বাদ না
পড়ে। পরিমাণ নির্ণয়ে যদি জটিলতা
দেখা দেয়, তাহলে সতর্কতামূলক বেশী
দাম ধরে জাকাত আদায় করবে, যাতে
সে সম্পূর্ণ দায়িত্ত্ব থেকে মুক্ত হতে
পারে।
* মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যাবহার্য
বস্তু যথা খাবার, পানীয়, আসবাবপত্র,
বাহন, পোষাক, (সোনা-রূপা ছাড়া)
অলংকারসহ ব্যবহার্য পণ্যের ওপর জাকাত
আবশ্যক নয়। কারণ, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, 'মুসলিমদের গোলাম, বাদী,
ঘোড়া এগুলোর ওপর জাকাত নেই।' ১)
ওমর রা.বলেন, নিজের খাবারে জন্য
উৎপাদিত 'শাক-সব্জিতে জাকাত
নেই।' ২) আলী রা. বলেন, আপেল ও এ
জাতীয় ফলের ওপর জাকাত ওয়াজিব
নয়।'
প্রশ্ন ০৮ : আপনি তো বললেন, মানুষের
নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যাবহার্য বস্তুতে
যাকাত দিতে হবে না। তবে মেয়েরা
তাদের ব্যাবহার্য গহনা অলংকার
এসবে যাকাত দিতে হবে কেন?
উত্তর: চমৎকার প্রশ্নের জন্য আপনাকে
আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনি
নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন আলোচনার প্রথম
পর্বে আমি উল্লেখ করেছি ইসলামী
সমাজের আদর্শিক সৌন্দর্য এটাই যে
এখানে মহান আল্লাহ তায়ালা
ঈমানদার মুসলিম মানবগোষ্ঠিকে প্রকৃত
পক্ষে দুনিয়াতে পার্থিব সম্পদমুখি ,
ভোগবাদী, লোভাতুর একজন বিত্তবান
হিসেবে গড়ে উঠতে কোনভাবেই পছন্দ
করেনা! সমন্বিতভাবে এই মুসলিম
সমাজের সকলকে প্রয়োজনীয়তা
মিটিয়ে দুনিয়াতে একমাত্র তাঁর
ইলাহিয়্যাত প্রচার, সাম্যভিত্তিক
সুখী সমাজ বিনির্মান আর আধ্যাত্মিক
(তাক্বওয়ার) উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে
চূড়ান্তভাবে মহান রবের সন্তুষ্টি
অর্জনের মাধ্যমে পরম সৌভাগ্যবানদের
অন্তর্ভুক্ত ( জান্নাতি)হবার উদাত্ত
আহ্বান জানায়। কল্পিত এমন সুন্দরতম
সমাজ বিনির্মানে যাকাতের ভূমিকা
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঠিক এভাবেই যে,
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,
* 'তোমাদের অর্জিত সম্পদ যেন
কেবমাত্র তোমাদের ধনীদের মাঝেই
আবর্তিত না হয়',
* “হে মুমিনগণ! তোমরা তোমাদের বৈধ
উপার্জন এবং আমি তোমাদের জন্য ভূমি
থেকে যে শস্য উৎপন্ন করি তা থেকে
আল্লাহর নির্দেশিত পথে ব্যয় কর।“ সূরা
বাক্বারা-২৬৭
* “আর আল্লাহ যাদেরকে তাঁর অনুগ্রহ
থেকে যা দান করেছেন তা নিয়ে
যারা কৃপণতা করে তারা যেন ধারণা
না করে যে, তা তাদের জন্য কল্যাণকর।
বরং তা তাদের জন্য অকল্যাণকর” সূরা
আলে-ইমরান: (১৮০)
* “এবং যারা সোনা ও রূপা পুঞ্জীভূত
করে রাখে, আর তা আল্লাহর রাস্তায়
খরচ করে না, তুমি তাদের বেদনাদায়ক
আযাবের সুসংবাদ দাও। যেদিন
জাহান্নামের আগুনে তা গরম করা
হবে, অতঃপর তা দ্বারা তাদের
কপালে, পার্শ্বে এবং পিঠে সেঁক
দেয়া হবে। (আর বলা হবে) ‘এটা তা-ই
যা তোমরা নিজদের জন্য জমা করে
রেখেছিলে, সুতরাং তোমরা যা জমা
করেছিলে তার স্বাদ উপভোগ কর”। সূরা
আত-তওবা: (৩৪-৩৫)
* সহিহ মুসলিমে আবু হুরায়রা
রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন:
“স্বর্ণ ও রূপার এমন কোন মালিক নেই, যে
এর হক প্রদান করে না, যার জন্য
কিয়ামতের দিন আগুনের পাত তৈরি
করা হবে না, যা জাহান্নামের আগুনে
তাপ দিয়ে অতঃপর তার পার্শ্ব, কপাল
ও পৃষ্ঠদেশ সেক দেয়া হবে। যখন তা
ঠাণ্ডা হবে গরম করা হবে, সে দিনের
পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছর, যতক্ষণ
না বান্দাদের ফয়সালা সমাপ্ত হয়”।
মুসলিম: (৯৮৭)
* আব্দুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস
রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,
'একদা একজন মহিলা তার মেয়েকে
সাথে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এল, ঐ
মেয়ের হাতে স্বর্ণের দু'টি ভারি ও
মোটা বালা ছিল, তা দেখে
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি কি এগুলোর
জাকাত দাও? মেয়ে বলল, না। তিনি
জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি এটা পছন্দ
কর যে কিয়ামত দিবসে আল্লাহ এগুলোর
দ্বারা দু'টি আগুনের চুড়ি বানিয়ে
তোমার হাতে পড়িয়ে দিবেন?
মেয়েটি এ কথা শুনে বালা দু'টি খুলে
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে দিয়ে বলল : এগুলো
আল্লাহর রাস্তায় দান করলাম।
* আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহা থেকে
বর্ণিত, তিনি বলেন, 'একবার
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন তখন
আমার হাতে কয়েকটি রূপার আংটি
ছিল, তখন তিনি বললেন, এগুলো কি?
আমি বললাম, আপনার সামনে সৌন্দর্য
প্রকাশ করার জন্য এগুলো তৈরি করেছি।
তিনি বললেন, তুমি কি এগুলোর
জাকাত প্রদান কর? আমি বললাম না,
তিনি বললেন, তোমার জাহান্নামে
যাওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট।
এখন আপনিই বলুন, ব্যবহৃত অলংকার নিয়ে
এই যদি হয় আল্লাহ তায়ালা এবং স্বয়ং
রাসূলুল্লাহ সঃ এর নির্দেশনা তবে
কোন মুসলিম নারী পুরুষ তাদের ব্যবহৃত
স্বর্ন রুপার অলংকারের উপর যাকাত না
দেয়ার কল্পনাও কি করতে পারে?
ইসলামের এসকল মৌলিক বিধান
পালনকারীদের নিয়ে আল্লাহ
তায়াল ইরশাদ করেন, 'যে ব্যক্তি
আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য করবে
সে ঐ সব লোকেদের সংগী হতে
যাদের প্রতি আল্লাহ তায়ালা
নেয়ামত দান করেছেন (সূরা নিসা-৬৯)'
যে নেয়ামত প্রাপ্তদের সাথী হবার
জন্য আমরা প্রতিদিন নামাজে সূরা
ফাতিহায় আল্লাহ তায়ালার কাছে
কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি
এভাবে 'ইহদিনাস সিরাতাল
মুসতাক্বিম, সিরাতাল্লাজিনা আন-
আমতা আলাইহিম' অর্থাৎ আমাদেরকে
সরল পথ দেখাও, সে সমস্ত লোকের পথ,
যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ।

0 comments:

Post a Comment